আমান উল্লাহ: [২] মানুষকে অপহরণ করে সেখানে নিয়ে  নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় করা হতো।  পাশাপাশি হত্যার পর মরদেহ গুম করা হতো।

[৩]আস্তানায় অভিযান চালিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পের আরসার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদসহ ৬ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৭টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও নগদ টাকা।

[৪]শুক্রবার রাতে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুরের একটি পাহাড় থেকে আরসা কমান্ডারকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরো ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করে বাহিনীটি।

[৫]আটকরা হলেন- আরসা কামান্ডার হাফের নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হোসেন জোহার, মো. ফারুক, মনির আহমেদ, নূর ইসলাম, মো. ইয়াছিন। 

[৬]শনিবার সকালে র‌্যাবের গণমাধ্যমে শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান।

[৭]তিনি জানান, আটকরা ক্যাম্পসহ উখিয়া টেকনাফ এলাকায় খুন, সন্ত্রাসী ও অপহরণের  সঙ্গে জড়িত। তারা আরসা কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ক্যাম্পে নানা অপরাধ ঘটিয়ে থাকেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান খন্দকার মঈন।

[৮]আরসা কমান্ডার নুর মোহাম্মদ বিস্ফোরক তৈরিতেও পারদর্শী বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকতা। তার বিরুদ্ধে খুন অপহরণসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফে আরসার তিনশো এর অধিক সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে। তাদের ধরতে ক্যাম্পে র‌্যাবের অভিযান চলমান বলে জানায় র‌্যাব। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান